নুরাল পাগলার দরবারে হামলার মামলার প্রত্যাহারের আবেদন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:১৫ অপরাহ্ণ   |   ১৬৫ বার পঠিত
নুরাল পাগলার দরবারে হামলার মামলার প্রত্যাহারের আবেদন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন মামলার বাদী। সোমবার দুপুরে বাদী ও নুরুল হকের শ্যালিকা শিরিন বেগম গোয়ালন্দ আমলি আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই আবেদন জমা দেন।

আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে আগামী ২২ ডিসেম্বর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শরিফুল ইসলাম জানান, বাদী ও আসামিদের মধ্যে আপস-মীমাংসা হওয়ায় মামলাটি প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নুরুল হকের পারিবারিক সূত্রও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


ঘটনার পটভূমি

গত ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে গোয়ালন্দ বাজার শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
সমাবেশ শেষে দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কয়েক দফায় নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালানো হয়।

হামলাকারীরা শরিয়তবিরোধী দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলার লাশ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় এলাকায় ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা পরে মৃত্যুবরণ করেন।


মামলার ধাপসমূহ

  • ১৩ নভেম্বর: শিরিন বেগম আদালতে ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪০০–৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
    আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে প্রদান করেন।

  • ৮ সেপ্টেম্বর: রাসেল মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা আজাদ মোল্লা গোয়ালন্দ ঘাট থানায় আরেকটি মামলা করেন।
    এতে ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

  • ৬ সেপ্টেম্বর রাত: পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই সেলিম মোল্লা আরেকটি মামলা করেন।
    এতে ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ জন অজ্ঞাত আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

     

পুলিশ এখন পর্যন্ত প্রথম মামলায় ১২ জন এবং দ্বিতীয় মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।